মুসাব ট্রাভেলস

হজ্জ ও ওমরার বিশ্বস্ত সহযোগী

হজ তিন প্রকার: কিরান, তামাত্তু, ইফরাদ।

এর মধ্যে সওয়াবের দিক দিয়ে সর্বাধিক উত্তম হলো কিরান, এরপর তামাত্তু, এরপর ইফরাদ। তবে আদায় সহজ হওয়ার দিক থেকে প্রথমে তামাত্তু, এরপর ইফরাদ, এরপর কিরান।

আরাফার নামিরা মসজিদ

হজে কিরান:

মিকাত থেকে একসঙ্গে উমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধাকে কিরান হজ বলা হয়। কিরান হাজিগণকে মক্কায় পৌঁছে প্রথমে উমরাহ করতে হবে। অতঃপর ইহরাম অবস্থায় হজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবেন এবং ১০ জিলহজ দমে শুকরিয়া তথা কোরবানি না করা পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায়ই থাকতে হবে। কিরান হজের ক্ষেত্রে তাওয়াফে কুদুম করা সুন্নত। তাই উমরাহ ও হজের মধ্যবর্তী যেকোনো সময় একজন হাজী তাওয়াফে কুদুম করবেন; সম্ভব হলে সায়ীও করে নেবেন।

মনে রাখতে হবে, যদি কোনো কিরান হাজি তাওয়াফের সঙ্গে সায়ী করেন, তবে তাকে ১০ জিলহজ ফরজ তাওয়াফের পর আর সায়ী করতে হবে না। কেননা, উমরাহ ও হজের বিধানে একবার করে সায়ী করা ওয়াজিব। এ ছাড়া ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত হজের আহকামসমূহ সব হাজির জন্য এক ও অভিন্ন।

মুজদালিফার মসজিদ আল মাশার আল হারাম

হজে তামাত্তু:

মিকাত থেকে শুধু উমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে পবিত্র মক্কায় পৌঁছে উমরাহ করার পর ইহরাম খুলে স্বাভাবিক অবস্থায় হজের জন্য অপেক্ষা করা এবং ৮ জিলহজ ইহরাম বেঁধে হজ সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে এবং ১০ জিলহজ দমে শুকরিয়া তথা কোরবানি না করা পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায়ই থাকতে হবে। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত কিরান ও ইফরাদ হজের মতো তামাত্তু হজের সব বিধান এক ও অভিন্ন। তবে পার্থক্য হলো, তামাত্তু হজে কিরান, ইফরাদের মতো তাওয়াফে কুদুম নেই।

মিনার আল খাইফ মসজিদ

হজে ইফরাদ:

মিকাত থেকে শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধাকে ইফরাদ হজ বলে। ইফরাদ হাজিগণ পবিত্র মক্কায় পৌঁছে ইহরাম অবস্থায় হজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবেন। অতঃপর মূল হজ শুরু হওয়ার আগে যেকোনো একদিন সুন্নত তাওয়াফ তাওয়াফে কুদুম করবেন, সম্ভব হলে সায়ীও করে নেবেন। কিরান হজের মতো এ ক্ষেত্রেও তাওয়াফে কুদুমের সঙ্গে সায়ী করে নিলে ১০ জিলহজ ফরজ তাওয়াফের পর আর সায়ী করতে হবে না।

আর ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত হজের বাকি আহকাম সবার জন্য এক ও অভিন্ন। শুধু পার্থক্য হলো, ১০ জিলহজ কঙ্কর নিক্ষেপের পর কিরান ও তামাত্তু হাজিগণকে হজের ওয়াজিব অঙ্গ দমে শুকরিয়া তথা কোরবানি করতে হবে, কিন্তু ইফরাদ হাজিগণকে কোরবানি করতে হবে না।